
অবস্থান যার সিলেটের শ্রীমঙ্গলের রাধানগরে আর চারদিকে ঘিরে আছে চা বাগান। বলছিলাম শান্তিবাড়ি ইকো রিসোর্টের কথা। চারপাশে চা বাগানে ঘেরা কিছুটা আদিবাসি ঢঙ্গে সাজানো একটি ছিমছাম নিরিবিলি রিসোর্ট এটি। প্রকৃতির কাছাকাছি শহুরে জঞ্জাল থেকে দূরে সম্পূর্ণ গ্রামের আবহাওয়া ও পরিবেশ উপভোগ করতে হলে এই ইকো রিসোর্টটি রাখতে পারেন পছন্দের শীর্ষে। চা বাগানের পরিবেশ তো পাচ্ছেনই সাথে আছে পুরোপুরি এক গ্রামে থাকার আনন্দ।
এই পর্যায়ে দেখা নেয়া যাক কী কী আছে এই শান্তিবাড়ি ইকো রিসোর্টে :
রিসোর্টে যে সকল সুযোগ–সুবিধা রয়েছে :
অবস্থান যার সিলেটের শ্রীমঙ্গলের রাধানগরে আর চারদিকে ঘিরে আছে চা বাগান। বলছিলাম শান্তিবাড়ি ইকো রিসোর্টের কথা। চারপাশে চা বাগানে ঘেরা কিছুটা আদিবাসি ঢঙ্গে সাজানো একটি ছিমছাম নিরিবিলি রিসোর্ট এটি। প্রকৃতির কাছাকাছি শহুরে জঞ্জাল থেকে দূরে সম্পূর্ণ গ্রামের আবহাওয়া ও পরিবেশ উপভোগ করতে হলে এই ইকো রিসোর্টটি রাখতে পারেন পছন্দের শীর্ষে। চা বাগানের পরিবেশ তো পাচ্ছেনই সাথে আছে পুরোপুরি এক গ্রামে থাকার আনন্দ।
এই পর্যায়ে দেখা নেয়া যাক কী কী আছে এই শান্তিবাড়ি ইকো রিসোর্টে :
রিসোর্টে যে সকল সুযোগ–সুবিধা রয়েছে :
সবুজের ছোঁয়ায় শান্তিবাড়ি ইকো রিসোর্ট। ছবি : ট্রিপ জোন
বিনোদন :
- পোষা প্রানী সাথে নেয়ার অনুমতি আছে, কোনো অতিরিক্ত চার্জ নেই।
- রিসোর্টের পুকুরে আছে মাছ ধরার সুযোগ।
- শিশুদের জন্য আছে খেলার জায়গা।
- বারবিকিউ করার ব্যবস্থা আছে রিসোর্টে।
আনুষাঙ্গিক সুবিধা :
- ফ্রি পার্কিং-এর সুবিধা, রিজার্ভের দরকার নেই।
- ২৪ ঘন্টা রিসিপশন ও মালামাল সংরক্ষণের সুবিধা।
- প্রতিদিন হাউসকিপিং এর সুবিধা।
- ফ্যামিলি রুমের ব্যবস্থা।
রিসোর্টের নিয়ন সমূহ :
- চেক ইন : দুপুর ১২টা
- চেক আউট : সকাল ১০টা ৩০ মিনিট
- ধূমপান মুক্ত রাখতে হবে।
- কোনো ইন্টারনেট এক্সেস নেই।
- সকল প্রকার লেনদেন নগদে করা হবে।
- শিশুদের জন্য এই রিসোর্টের কোনো নিষেধজ্ঞা নেই।
- রুমে অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করা যাবে না। সর্বোচ্চ ৪ জন অতিথি থাকতে পারবেন একটি রুমে।
কটেজ ভাড়া :
এই রিসোর্ট আছে বেশ করেয়টি ধরনের কটেজ। ধরন ভেদে আছে ভাড়ার পার্থক্য।
যেখানে প্রকৃতি ডাকে নি:শর্তে, শান্তিবাড়ি ইকো রিসোর্ট।ছবি : ট্রিপ এডভাইজর
মাচাং ঘর :
- ভাড়া : ৮ জন থাকতে পারবে এই কটেজে, সেই হিসেবে ভাড়া ৪,০০০ টাকা। জন প্রতি ৫০০ টাকা।
- কটেজটির ব্যবস্থা ছাত্রাবাসের মতো।
- মাঝে করিডোর দেয়া ২টি রুম আছে।
- একটি কমন রুম আছে ৮*২০ সাইজের, সাথে আছে একটি কমন বাথরুম।
বাঁশের কটেজ (বড়) :
- ভাড়া : ৩,০০০ টাকা
- ৫জনের থাকার ব্যবস্থা আছে।
- ছনের ঘর, মাটির মেঝে ও সংযুক্ত বাথরুম।
- ২ টি সেমি ডাবল বেড, ১টি সিঙ্গেল বেড।
বাশেঁর কটেজ (ছোট) :
- ভাড়া : ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা
- ছনের ঘর, মাটির মেঝে ও সংযুক্ত বাথরুম।
- ১টি কাপল বেড, ১টি সিঙ্গেল বেড।
ডাবল শেয়ারিং বেড নিলে ভাড়া ২,০০০ টাকা। ট্রিপল শেয়ারিং বেড নিলে ভাড়া ২,৫০০ টাকা।
কাঠের কটেজ :
- ভাড়া : ৩,০০০ থেকে ৩,৫০০ টাকা।
- কাপল রুম : ৩,০০০ টাকা, প্রতি রাত।
ট্রিপল রুম : ৩,৫০০ টাকা, প্রতি রাত।
- এটি একটি দ্বিতল বিশিষ্ট কটেজ, যার প্রতি তলায় ২টি করে রুম আছে।
- গিজার ও ফ্যানের ব্যবস্থা করা আছে।
- প্রতি রুমে সর্বোচ্চ ৩ জন করে থাকতে পারবে।
দ্বিতল কটেজ :
- ভাড়া : ৪,৫০০ টাকা।
- দ্বিতল বিশিষ্ট কাঠের কটেজ।
- ১টি কমন বাথরুম আছে দুই ফ্লোরের জন্য ব্যবহার্য।
- ৫ জনের থাকার ব্যবস্থা আছে।
- নিচ তলায় সেমি ডাবল বেড, দোতলায় ডাবল বেডের ব্যবস্থা করা আছে।
বারবিকিউ :
- মূল্য : ৫০০টাকা
- সাথে থাকবে রোস্টেড পাইনএ্যাপল (আনারস), পরটা, সবজি, সালাদ আর খাবার পানি।
কিভাবে যাবেন :
ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গলের দুরত্ব ১৭৮ দশমিক ১ কিলোমিটার, পৌঁছতে সময় লাগে আনুমানিক ৪ ঘণ্টার মতো। ঢাকা থেকে সড়ক ও রেলপথ দুইভাবেই শ্রীমঙ্গল যাওয়ার ব্যবস্থা আছে।
- হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, সিলেট এক্সপ্রেস, মৌলভিবাজার সিটি, টিয়ার ট্রাভেলস, রূপসী বাংলা, তাজ পরিবহন এই বাস গুলো ঢাকা থেকে মৌলভিবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
- জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, পারাবাত এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস এই ট্রেনগুলো ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।